সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, কারও মুখের দিকে তাকানো হবে না; যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে ঢাকার নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের প্রতি তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। রাজধানীতে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেগুলো যথাসময়ের শেষ করার ব্যাপারে মেয়র-কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। সমাজের ক্ষত থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে তার সরকার এটা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
গত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন একটা বিস্ময়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যার সঙ্গেই দেখা হয় জিজ্ঞেস করে কীভাবে এত উন্নয়ন করলেন। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। আমরা আমাদের দেশে সেই মন্দার প্রভাব পড়তে দিইনি। দক্ষতার সঙ্গে সব দিক সামাল দিয়েছি। আমরা এখন ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ৯০ ভাগ উন্নয়ন কাজ নিজস্ব অর্থায়নে করছি। কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা ধরে রাখতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে যোগ করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী দিনের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই সেটার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আসবে, সরকার যাবে। কিন্তু উন্নয়নের গতিধারা যেন থমকে না যায়।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিল পরবর্তী সময়ে চারদলীয় জোট সরকার এসে সেগুলো থামিয়ে দেয়।
সরকারপ্রধান জানান, দেশের মানুষের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য তিনি মুছে দিতে চান।
- সহিংস দিল্লিতে নিহত বেড়ে ৩৪, জাতিসংঘের ক্ষোভ
- রাজধানীতে বহুতল ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ড, শিশুসহ নিহত ৩
কয়েকটি দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে এ ব্যাপারে সরকার সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি। করোনা শনাক্ত হলে কী করতে হবে, কীভাবে সামলাতে হবে সেটাও সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান।
তিনি জানান, একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। চিকিৎসক নার্সদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। ছোট্ট মশা অনেক বড় অর্জন খেয়ে ফেলতে পারে বলে তাদের সতর্ক করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।