করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ভারতীয় একটি বিশেষ বিমানে উহান থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার তাদের বহনকারী বিমানটি দিল্লিতে অবতরণ করেছে বলে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে জানানো হয়েছে। তবে কখন বিমানটি অবতরণ করেছে সে সময় উল্লেখ করা হয়নি ওই পোস্টে।
নিয়মমাফিক তাদের এখন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে উল্লেখ করা হয় ওই পোস্টে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিশেষ বিমানে করোনা ভাইরাসের উৎস চীনের উহান শহর থেকে ৬৪৭ ভারতীয় দেশে ফেরেন। এরপরও যারা আটকা ছিলেন সেই ভারতীয়দের ফেরত আনার অনুমতি দিতে চীন ইচ্ছা করেই দেরি করছিল বলেও অভিযোগ ছিল ভারতের।
চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ৪৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চীনে থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, চীন খুবই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চীনে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। হুবেই প্রদেশে এখনও আটকে থাকা কিছু বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনতে চীন সম্মত হয়েছে। তবে তাদের কবে আনা যাবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, বিষয়টি নির্ভর করছে চীনের ওপর।
১১ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিনে, ‘নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশি কাউকে এই মুহূর্তে সরকারিভাবে দেশে ফেরানো হচ্ছে না। ব্যক্তিগত খরচে কেউ ফিরলে পরবর্তী ব্যবস্থা সরকার নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা যাদের এনেছি, তিন কোটি টাকা আমার প্লেন ভাড়া দিতে হয়েছে, আমার ফান্ডে আর কোনো পয়সা নেই।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে সর্বমোট ৩১২ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ২৯৭ জন, এক বছরের বেশি বয়সী ১২ জন ও এক বছরের নিচে তিনজন।