পাইকারী, খুচরা ও সঞ্চালন- তিন ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দাম বৃদ্ধির পক্ষে বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক হিসেবে দেখছেন (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। আর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মনে করছেন এতে পিছিয়ে পড়বে শিল্প খাত।
আজ বৃহস্পতিবার বিইআরসি সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা জানায়। নতুন এই দাম আগামী মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অন্যায্য ও অযৌক্তিক মন্তব্য করে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে কারণ দেখিয়ে দাম বড়ানো হয়েছে তা অযৌক্তিক। এটা ঠিক হয় নি। আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। এমনিতেই বিভিন্ন কারণে অর্থনীতি চাপে রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবকে এই চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়বে। এর ফলে অপচয় ও দুর্নীতি বেড়ে যাবে। অপব্যয় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে। ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় বেড়ে যাবে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে স্থবিরতা কাজ করছে মন্তব্য করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে দেশের শিল্পখাতে বড় ক্ষতি হবে। পিছিয়ে পড়বে উৎপাদন খাত।
তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বলেন, পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। নানা সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিশ্ববাজারে পিছিয়ে পড়ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ালেই সেটা আমাদের ওপর একটা বাড়তি চাপ হিসেবেই আসবে।