একসময় ৩ ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরে সব সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। প্রথমে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দলের দায়িত্ব নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর সাকিব আল হাসানের হাতে টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সবমিলিয়ে নেতৃত্ব দেয়া থেকে বিরত থাকেন মুশফিক। কিন্তু এখন সেখানেই চলছে ক্রান্তিকাল। টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ম্যাশ। ওয়ানডে থেকেও শিগগির অবসর নেবেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে অভিজাত সংস্করণে নেই সাকিব। ব্যর্থ হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। এ পরিস্থিতিতে আবারও অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি এক টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুশফিকুর বলেন, অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা আমার হাতে নেই। এটা অনেক সম্মানের কাজ। সবারই স্বপ্ন থাকে নিজ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার এবং নেতৃত্ব দেয়ার। তবে এ সুযোগ প্রত্যেকের কাছে আসে না। তো সেরকম কোনো প্রস্তাব যদি ভবিষ্যতে আসে, তা হলে আমি ভেবে দেখব।
মুশফিককে অবশ্য দলনায়কের দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারে বোর্ডের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু শোনা যায়নি। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই ক্যাপ্টেন হিসেবে মাশরাফির বিদায় হচ্ছে। এরপর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে চায় বোর্ড।
- আরও পড়ুন >> মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দীন ইয়াসিন
- আরও পড়ুন >> রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন,ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে এখনই চিন্তা করতে হবে। আবার অধিনায়কত্ব নিয়ে যদি বলেন, সেটাও এখন থেকে ভাবতে হবে। আমাদের এখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
২০১১-২০১৪ সাল পর্যন্ত মুশফিকের অধীনে ৩৭ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। জয়ের দেখা পায় ১১টি। একই সময়কালে ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। টাইগাররা জেতে ৮টি।
সর্বোপরি, টেস্ট ক্রিকেটে তুলনামূলক লম্বা সময় ধরে ক্যাপ্টেনসি করেন মুশফিক। ২০১৭ সালে গুরুদায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার আগে ৩৪টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। যার মধ্যে ৭টি জয় পায় বাংলাদেশ।