ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে ভয়াবহ সহিংসতার পর এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়। শুক্রবার থেকে সিএএ বিরোদী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠেছে এই রাজ্যে। সহিংসতায় ইতিমধ্যে একজন নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সহিংসতা রুখতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজ্যের ছয় জেলায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চরম আকার নিতে শুরু করেছে। খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং অ-আদিবাসীদের দফায়-দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে শিলংসহ মেঘালয়ের একাধিক জায়গা। সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যেই পূর্ব খাসি হিলসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পূর্বের দুই সংগঠনের মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও ইনার লাইন পারমিট নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিবাদ চলছিল।
শুক্রবার বিতর্ক মেটাতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হঠাৎ করে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। সেই সংঘর্ষেই একজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নতুন করে যাতে আরও উত্তপ্ত না হয় সেই কারণেই তড়িঘড়ি করে কারফিউ জারি করা হয়। যদিও ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের ৬ জেলাতেই অশান্তি ছড়াতে শুরু করেছে।
- পাপিয়াদের পেছনে যারা তারাও নজরদারিতে : ওবায়দুল কাদের
- করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমছে না, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯২২
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিকেল থেকে মেঘালয়ের ৬ জেলায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব জয়ন্তিয়া হিল, পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস, রি ভোই, পশ্চিম খাসি হিলস, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসে অশান্তি ছড়িয়েছে। আরও ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত তিনদিন ধরে দিল্লিতে সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জ্বালাও পোড়াও কমলেও এরই মধ্যে সেখানে ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সংখ্যালঘু মুসলিমরা ব্যাপক হামলার শিকার হয়েছেন। সিএএ নিয়ে শুরু হওয়া সহিংসতা পরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।