ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস হওয়ার পর এ নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ। বিভিন্ন রাজ্য এর বিরোধীতা করেছে। এমন আইনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের কাগজ দেখতে চেয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির কোনো কাগজ নেই তিনি জন্মসূত্রে ভারতের নাগরিক।
তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) মোদির নাগরিকত্ব নিয়ে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামে এক ব্যক্তি আরটিআই এর মাধ্যমে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের কাগজপত্র রয়েছে কি না? তারই উত্তরে পিএমওর সচিব প্রবীণ কুমার জানান, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী জন্মসূত্রেই ভারতীয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এই তথ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষত, আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির পরে বহু মানুষ নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে ‘ডিটেনশন’ শিবিরে ঠাঁই পেয়েছেন। নাগরিক পঞ্জিতে বাদ পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। কাগজ দেখাতে না পারায় নাগরিকত্ব পাননি তারা। এমনকি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন এমন লাখ লাখ লোক আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, এরপর নাগরিকত্বের নথি চাওয়া হলে আমজনতাও যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের দাবি তোলে, তা কি গ্রাহ্য হবে?
আরও পড়ুন >> দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা: স্পিকারের ভারত সফর স্থগিত
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একাধিকবার জানিয়েছে, ২০১১ ও ২০১৫ সালের জাতীয় জনগণনা পঞ্জি প্রক্রিয়ার পরে দেওয়া পরিচয়পত্র যাদের কাছে নেই তারা নাগরিক নন। দেশের মানুষের বড় অংশের কাছেই সেই পরিচয়পত্র নেই। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, তবে বিজেপি কাদের ভোটে জিতল?