বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯১ রানে গুড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সেই রান তাড়া করতে নেমে ৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগ্রেসরা। আজ সোমবার সকালে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে সালমা-জাহানারারা। তবে সুবিধা করতে পারেনি। ৮ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান সংগ্রহ করেছে। জিততে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ৯২ রান। এখন দেখার বিষয় নিউজিল্যান্ডের মতো বাংলাদেশও এই রান ডিফেন্ড করতে পারে কিনা।
মেলবোর্নের জাংশন ওভালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫ রানের মাথায় বিদায় নেন মুর্শিদা খাতুন। সেখান থেকে ১৯ রানের একটি জুটি গড়েন আয়শা রহমান ও সানজিদা ইসলাম। ২৪ রানের মাথায় ভাঙে এই জুটি। সানজিদা আউট হয়ে ফিরে যান ১৩ রান করে। আয়শাও টিকতে পারেননি। ২৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনিও।
সেখান থেকে নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ফারজানা হকের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ৫৬ রান পর্যন্ত যায়। তাদের দুজনের ৩১ রানের দারুণ জুটিটি ভাঙে ফারজানা এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে। ১৩টি রান আসে ফারজানার ব্যাট থেকে। রুমানা আহমেদ এসে ৫ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যান। ৭৯ রানের মাথায় রিতু মনিও ফিরেন ৮ রান করে। ৮২ রানের মাথায় ফাহিমা আউট হন ১ রান করে।
আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়ান জ্যোতি। তিনি একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে দলীয় ৯১ রানে রান আউট হন তিনি। ৪৫ বল খেলে ৫ চারে সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার সাক্ষীকালা শ্রীবর্ধনে ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। যা চলতি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে বাংলাদেশের রিতু মনি ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার উপহার দিয়েছিলেন। আচিনি কুলাসুরিয়া ৩ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন কাভিশা দিলহারি।