সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা নিয়ে আসামি তানভীর রহমানের করা আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তানভীরের আবেদনের শুনানিতে হত্যা মামলায় র্যাবের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে আসে। আদালতে শুনানির এখতিয়ার নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন তোলায় তার আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, ‘যেহেতু এই মামলার শুনানির এখতিয়ার নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন উপস্থাপন করেছে, তাই এই মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিচ্ছি।’
আদেশের পর মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম নতুন কিছু একটা দেখব। আদালতে যেহেতু বিষয়টি এসেছে তাহলে মামলার অগ্রগতি হবে। কিন্তু আমরা হতাশ হলাম। আবার প্রমাণ হলো- মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষ আন্তরিক না। মামলার বিচারকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪ মার্চের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মো. তানভীর রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
- রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৮ কোটি ডলার তহবিলের আবেদন জাতিসংঘের
- পাকিস্তান যেতে অস্বীকৃতি, তৃতীয় ওয়ানডে থেকে বাদ মুশফিক
১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা।
১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।