বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জেলায় জেলায় নৌকা বাইচের আয়োজন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চলতি মাসের (মার্চ) সুবিধাজনক সময়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এ মাসেই তুরাগ নদীর পাড়ে একটি নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংক্রান্ত অ্যালবাম তৈরি করে বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।
দেশের ছোট বড় নদীর সংখ্যা ২৩০টি। এছাড়া অসংখ্য খাল-বিল রয়েছে। এসব নদী ও খাল-বিলে সুবিধাজনক সময়ে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু নদীপদক প্রদান করা হবে। দেশের বিভিন্ন নদীবন্দরে শিক্ষার্থীদের দিয়ে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সুবিধাজনক সময়ে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্যদের নিয়ে নৌ-ভ্রমণের আয়োজন করা হবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফেরি ঘাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে টার্মিনাল চার্জ ও লঞ্চ ঘাটের প্রবেশের ফি মওকুফ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে নৌপথে চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিআইডব্লিউটিএর নিয়ন্ত্রণাধীন সকল ফেরি ঘাটে প্রবেশের টার্মিনাল চার্জ, সকল প্রকার লঞ্চ ঘাটের প্রবেশ ফি পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে মওকুফ করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মত ও পথকে বলেন, আগামী ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফেরি ঘাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে টার্মিনাল চার্জ ও লঞ্চ ঘাটের প্রবেশের ফি মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার কর্ম ও আদর্শের ছোঁয়া রয়েছে। সেই দিকগুলো দেশবাসীকে জানাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর শত জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি উন্মুক্ত যাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।