অবশেষে বিতর্কের মুখে কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিলের আদেশ দেন। একই বেঞ্চ গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন।
এই জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কিছু জানত না। শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ জি কে শামীমের জামিন বাতিলের আবেদন করে।
শনিবার জিকে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ ও ৬ তারিখে জি কে শামীম হাইকোর্টের দুই বেঞ্চ থেকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। একটি এক বছর ও অপরটিতে ছয় মাস পেয়েছেন। মানিলন্ডারিং ও দুদকের আরও দুটি মামলা আছে সেগুলোর জন্য ইতিমধ্যে হলফনামা করা হয়েছে।
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতনে জিকে শামীমের কার্যালয় থেকে তাকে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পেয়েছে বলে জানায় র্যাব।
- করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপাকে পোশাক শিল্প
- বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী
অস্ত্র ও কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে যে দুটি মামলা করা হয়েছিল, তাতে জিকে শামীমের পাশাপাশি সাত দেহরক্ষীকেও আসামি করা হয়। শামীমের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মাদকের মামলাও হয়। এসব মামলায় রিমান্ডেও নেয়া হয় আলোচিত ঠিকাদার শামীমকে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ২১ অক্টোবর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।