প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাস্ক-স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) প্রতিরোধে নেয়া সরকারি পদক্ষেপের প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের যৌথ বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, সব সরকারি হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য আলাদা ইউনিট এবং সব বেসরকারি হাসপাতালে এ সংক্রান্ত সেল খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরে হাইকোর্ট নির্দেশনায় বলেন, দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত থার্মাল স্ক্যানার বসাতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটি নষ্ট থাকায় অবিলম্বে এগুলোকে সচল করতে হবে।
করোনা কেন্দ্র করে মাস্কসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের মূল্য নিয়ে কেউ যাতে অনৈতিক ব্যবসা করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনিটর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিদেশ থেকে কেউ এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস নেই- এ সম্পর্কিত (সংশ্লিষ্ট দেশের) নিশ্চয়তাপত্র থাকতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
করোনা নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে- গত ৫ মার্চ তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল-মাহমুদ বাশার। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা জানান, ধরা পড়া করোনা রোগী দুজন ইতালিফেরত। তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।