রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে ৬ বছরের শিশু সামিয়া আরফিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে হারুন-অর-রশীদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান সোমবার এ রায় দেন। হারুন ছিলেন এ মামলার একমাত্র আসামি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিন বিচারক কাজী আবদুল হান্নান রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন শিশু সায়মার বাবা আবদুস সালাম আসামির দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছিলেন।
গত বছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সায়মা ঘরে ফিরে না এলে তার পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়ির ৯ তলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটের চিকেন রুমের সিন্কয়ের নিচে গলায় শক্ত করে পাটের রশি দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এরপর সংবাদ দিলে পুলিশ এসে সায়মার লাশ সিনকের নিচ থেকে বের করে।
- জেনে নিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
- কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রামের দুই স্কুল
এ ঘটনায় পরদিন শিশুটির বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলার দু’দিন পর গত বছরের ৮ জুলাই গ্রেফতার হয়ে আসামি হারুন আদালত দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. আরজুন একমাত্র আসামি হারুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।