ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণায় শোডাউন করেছে বিএনপি। প্রচার-প্রচারণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী মঙ্গলবার সংসদীয় এলাকায় ব্যাপক ভিত্তিক গণসংযোগ চালায় দলটি। এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলমের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে নির্বাচন করা বিএনপির উদীয়মান নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তাদের নেতৃত্বে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা পরিণত হয় দলীয় শোডাউনে।
প্রচারণা শেষে এক সমাবেশে শেখ রবিউল আলম ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন। এবারও যদি আপনাদের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতারণা করে তবে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে রুটিন গণসংযোগের পর বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা হলেও এ সময় নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নেতানেত্রীদের নামে মামলা প্রত্যাহার চেয়েও স্লোগান দেন।
পরে সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী সমাবেশে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম বলেন, নির্বাচনে অপকৌশল গ্রহণ করলে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে চরম মূল্য দিতে হবে। জনগণ জেগে উঠেছে। তার রায়কে আর ডাকাতি করা যাবে না।
- আরও পড়ুন >> ১৭ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আরও পড়ুন >> শেয়ারবাজার : বিনিয়োগে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে ৩ ব্যাংক
প্রচারণাকালে ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো এলাকা প্রদক্ষিণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, জনগণের রায় ছিনতাই করতে দেয়া হবে না। হয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে নয়তো সরকারের ক্ষমতা ছাড়তে হবে। ঢাকা ১০ আসনের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রতারণা করলে তার জবাব দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে গণসংযোগে জনগণ যেরকম স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের দিনও থাকবেন। গত জাতীয় নির্বাচন ও সিটি নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে গেছেন, তবে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের কারণে তারা ভোট দিতে পারেননি। রাষ্ট্র, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না। ওরা দুইশত ছিল, আমি যদি পাঁচশত নিয়ে যেতাম তাহলে পরিস্থিতি কী হতো। সংঘাত হতো, অনেকে আহত হতো। তাতে কি রাষ্ট্র লাভবান হতো। সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।