বিশ্বে সবচেয়ে চাঙা অবস্থায় এখন অস্ত্রের ব্যবসা। অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায়। আর এজন্য বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দশ দেশের আটটিই এই দুই অঞ্চলের। এদিকে রপ্তানিতে বরাবরের মতো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানটি রাশিয়ার। তারপরই আছে ফ্রান্স, জার্মানি ও চীনের মতো দেশগুলো।
স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত সুইডেনভিত্তিক স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে। তাদের এবারের ওই গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘টেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফার, ২০১৯’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সময়ে গোটা বিশ্বে যে অস্ত্র বাণিজ্য হয়েছে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের চেয়ে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি এবং ২০০৫-২০০৯ সময়ের তুলনায় তা ২০ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে অস্ত্রের ব্যবসা সবচেয়ে রমরমা ছিল গত পাঁচ বছর।
২০১৫-১৯ এই পাঁচ বছরের সৌদি আরব ও ভারতের পর সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে যথাক্রমে মিসর, অস্ট্রেলিয়া এবং চীন। এদিকে একই সময়ে অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন। পরের পাঁচ দেশ হলো যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইসরায়েল, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে অস্ত্র আমদানিতে ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে থাকা দেশগুলো হলো আলজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক ও কাতার। এছাড়া শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকার এগারোতম স্থানটি পাকিস্তানের। বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১২ শতাংশ সৌদির এবং ভারতের অংশীদারিত্ব ৯.২ শতাংশ।
এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদনে, অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে ৬৮টি দেশ এবং অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ১৬০টি দেশকে নথিভুক্ত করেছে। তাতে দেখা গেছে, অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ সব দেশগুলো পশ্চিমের। এদিকে আমদানির শীর্ষে রয়েছে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকবলিত দেশগুলো।
- তামিম-মুশফিকের মাসিক বেতন ছয় লাখ
- ১৭ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- বিএনপি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে আর লজ্জা পাবে না : তথ্যমন্ত্রী
তবে সৌদি আরব ও ভারতের অস্ত্র আমদানিতে কিছু পার্থক্য রয়েছে। সৌদি আরবের মোট আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৩ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপর ১৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় যুক্তরাজ্য। এদিকে ভারতের মোট অস্ত্রের ৫৬ শতাংশের যোগানদাতা রাশিয়া। ১৪ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইসরায়েল।