করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই, সংক্রমিত ২ জনের অবস্থার উন্নতি

মত ও পথ প্রতিবেদক

প্রেস ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে নতুন কেউ আক্রান্ত হয়নি। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি তিনজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা উন্নতির দিকে। নমুনার ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। পরপর দুটি নেগেটিভ হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে সংক্রমণ ঘটার পর বিশ্বের প্রায় একশ দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে গত রোববার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ সম্প্রতি ইতালির দুটি শহর থেকে দেশে ফিরেছেন। আর তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে পরিবারের আরেক নারী সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই শঙ্কামুক্ত এবং তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের একজন এখনো তাদের তত্ত্বাবধানে আছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান আইইডিসিআরের পরিচালক।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর-এর হটলাইনে ৩২২৫টি কল এসেছে। এ পর্যন্ত ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় করা হয়েছে ১০ জনের। কারও নমুনায় করোনা পাওয়া যায়নি।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‌গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

ইতালিতে ভ্রমণ ও জনসমাগম নিষিদ্ধ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য স্বস্তির ব্যাপার। ইতালি লকডাউন। ওখানে আমাদের যারা আছে, তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে দূতাবাসের মাধ্যমে। এদিকে, চীনে সংক্রমণ কমছে।’

ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশের কাছে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ও গেছে বলেও জানান তিনি।

বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই স্ক্যানার রাখার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।

এছাড়া সামিট গ্রুপ পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার উপহার দিয়েছে। দুটি ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বাকি তিনটি আসার পথে। এর আগের ছয়টি এবং এবার উপহারের পাঁচটি মিলিয়ে মোট থার্মাল স্ক্যানার ১১টি।

আইইডিসিআরের ১২টি হটলাইন নম্বরে প্রচুর মানুষ কল দেওয়ায় অনেকেই ফোন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ  একটি হান্টিং নম্বর (০১৯৪৪৩৩২২) করা হয়েছে।

এই একটি নাম্বারে কল করলেই বিভিন্ন নম্বর থেকে আসা কলগুলো যেখানে বিজি থাকবে না সেখানে সংযোগ দেয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে এই নাম্বারে ফোন করলে টাকা দিতে হবে। তবে এটি টোল ফ্রি করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

বিদেশ থেকে আগতদের ১ মিটার দূরত্ব রাখা, মাস্ক পরিধান করা এবং ঘরে অবস্থানের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সেব্রিনা ফ্লোরা। এছাড়া যারা দেশে অবস্থান করছেন কিন্তু হাঁচি কাশি কিংবা জ্বর আছে তাদেরকেও খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে