রূপনগর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে প্রভাবশালী মহল জড়িত এমন অভিযোগ করে এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা এই রূপনগরে বারবার দেখছি অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। কিছুদিন আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেও আমরা এখানে এসেছিলাম। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনো একটা প্রভাশালী মহল তারা ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে বস্তি উচ্ছেদ করে দিয়ে এখানে বিভিন্ন রকমের হাউজিং বা প্লট নির্মাণ করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় ঝিলপাড় বস্তির পশ্চিম অংশে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে কয়েকশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, সকাল পৌনে ১০টায় রূপনগরের ‘ত’ ব্লকের ওই বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট পৌনে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা (বিএনপি) মনে করি, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হতে হবে। প্রভাবশালী মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত যাতে না হয়, সেজন্য নিরপেক্ষ তদন্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, একদিকে যারা বিত্তশালী তাদের জন্য নতুন নতুন গৃহায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দেশে যারা দুর্বল, যারা বস্তিতে বাস করেন তাদের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই, গৃহায়নের কোনো ব্যবস্থা তাদের নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই বস্তিতে যারা বাস করে সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। এই বস্তি পুড়ে যাওয়ার ফলে তারা একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা আগুনের এই ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। নিন্দা প্রকাশ করছি যে বারবার এগুলো ঘটার পরেও যারা কর্তৃপক্ষ আছেন তারা সেইভাবে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আগুনের ঘটনার পরে অনেক বিলম্বে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন নেভাতে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
ঝিলপাড় বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি জানান, বিএনপি সবসময় আপনাদের পাশে ছিল, আপনাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।এছাড়া ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রিয়াজ উদ্দিন, স্থানীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, মাহফুজ খান সুমন প্রমুখ।