করোনার উপসর্গ দেখা দিলে না লুকিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

মতম ও পথ প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে কারও যদি কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তা না লুকিয়ে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সেগুলো মেনে চলবেন। বিদেশ থেকে কেউ আসলে তার সঙ্গে মিশবেন না। তাকে অন্তত কিছুদিন আলাদা থাকতে দেবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। সচেতন থাকবেন। যে যে কাজগুলো করলে তার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় সে কাজ করবেন না। যেখানে সেখানে কফ, থুতু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দিলে রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন। নিজে ভালো থাকবেন, অপরকে ভালো রাখবেন।

universel cardiac hospital

মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পবিত্র ধর্মেও রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা। আমাদের সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিজেরা যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি তাহলে আমরা রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব।

তিনি বলেন, বিশ্বের ১১৪টি দেশে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা বাংলাদেশ এ ভাইরাস প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। মানুষকে সচেতন করে তুলছি। আমাদের দেশের মানুষ এমনই, খুব অসচেতন। তারা যেখানে সেখানে থুতু ফেলছে। টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলছে। বাইরে থেকে ঘরে এসে হাত না ধুয়ে ছেলেমেয়েকে স্পর্শ করছে, বিভিন্ন কিছু করছে।

এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করব, এবং অপরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখব। ছাত্রছাত্রীরা তাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখবে। নিজের কাজ নিজে করতে কোনো লজ্জা নেই। বিদেশে কাজের কোনো লোক নেই। তারা অনেক উন্নত দেশ। তারপরও তারা নিজেরাই নিজেদের কাজ করে। তাদের মান-সম্মান যায় না।

যানবাহনে ময়লা রাখার জন্য ঝুড়ি বা থলে রাখার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যানবাহন রাস্তাঘাটে বা কোনো জমায়েতে গিয়ে কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন না। হাতে হাত মেলাবেন না। কোলাকুলি করবেন না। এগুলো থেকে আপাতত দূরে থাকুন। নিজেরা সচেতন থাকুন এবং অপরকে সচেতন রাখুন।

তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামে আমরা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। গ্রাম থেকে শুরু করে জেলা শহর পর্যন্ত প্রতিটি স্থান যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে এ ব্যাপারে সবাইকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে