মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে প্রথমে গ্রাহকদের নাম্বার সংগ্রহ করত। তারপর বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলা হতো অথবা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠানো হতো। গ্রাহকরা সেই কোডে ডায়াল করলেই বা লিঙ্কে ক্লিক করলেই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যেত প্রতারকদের হাতে।
রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে এমন জালিয়াতি চক্রের সদস্য সোহেল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড, মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইস।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটেলিয়নটির অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান।
কীভাবে প্রতারণা করত তার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করত, তাহলে সেই নাম্বার ও তথ্য এজেন্টরা তাদেরকে জানিয়ে দিত। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নাম্বার ক্লোন করে সেন্ডার বা রিসিভার করে কল দিয়ে বলতো, আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নাম্বারে চলে গিয়েছে। এ সময় কৌশলে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলত। অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতে পারতো।
রকিবুল বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিরপুর-১ এর ১৯ নাম্বার রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা সোহেল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেল ২০১৭ সাল থেকে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
- করোনায় আক্রান্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী
- করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন তোলা হাস্যকর : কাদের
কী পরিমাণ টাকা আয় করেছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তার চক্রের আরো ৪/৫ জনের নাম আমাদেরকে বলেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ধরতে শিগগির অভিযান চালানো হবে।
তিনি জানান, সোহেল মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রতারণার মাধ্যমে যা আয় করতেন তা মাদকের পেছনেই ব্যয় করে ফেলেছেন।