বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন এলেন না (আসছেন না)? কী কারণে এলেন না? তিনি এলেন না জানানোর পরই সরকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশে তিনজন করোনায় আক্রান্ত।’
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘করোনা ভাইরাস : বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের কতটুকু প্রস্তুতি রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘দয়া করে আপনারা (আওয়ামী লীগ) করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। আপনাদের কাছ থেকে আমরা এটুকু আশা করব, এটা যেন ব্যাপক আকার ধারণ না করে। যদি আজকে ব্যাপক আকার ধারণ করে তাহলে সরকার এটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে- দেশের মানুষ কিন্তু এটা বিশ্বাস করে। কারণ শুরু থেকেই সরকার করোনা নিয়ে উদাসীন ছিল।
মুক্ত আলোচনায় মওদুদ আরও বলেন, নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমি মনে করি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সতর্কতামূলক বন্ধ ঘোষণা করা উচিত। কেউ কি বলতে পারবো- কখন কোথায় কে আক্রান্ত হবে। সরকারের উচিত হবে না এ ঝুঁকি নেয়া। যতো রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রয়েছে সেটা গ্রহণ করতে হবে।
করোনা কী করে আসছে তা কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। কেউ বলতে পারব না আমি আক্রান্ত হবো না। সুতরাং এটা একটি ভয়াবহ রোগ, যা যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো দেশে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
এ সরকার একটি জবাবদিহিহীন অনির্বাচিত সরকার। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। তারা যা বলেন বা করেন তাতে সন্দেহ থাকে। তারা প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় বিষয়ে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে। যার কারণে যে উদ্দেশ্য নিয়ে লক্ষ্য ধারণ করা হয় তা পূরণ করা সম্ভব হয় না।
বিমানবন্দরে যে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে তা একেবারেই অল্প। বহু মানুষ এখন দেশে আসছে। মামুলি দায়সারা স্ক্যানিং করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। একজন আক্রান্ত হলে তার সেবার প্রয়োজন। কিন্তু যিনি সেবা দেবেন তার তো প্রটেকটিভ কিছু করতে হবে। সেই ধরনের ব্যবস্থা নাকি আমাদের দেশে পর্যাপ্ত নেই।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আয়োজনে মুক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মেহেদি হাসান পলাশ ও মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর আলম।