ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ইতালিফেরত ৩ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিনজনই পুরুষ এবং তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তবে জেলাবাসীর মধ্যে যেন আতংক না ছড়ায় সেজন্য তাদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত তিনদিন আগে ইতালি থেকে দেশে ফিরেন ওই তিন প্রবাসী। এরপর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে তারা পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
এদিকে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে প্রস্তুতি হিসেবে জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইতোমধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে কোয়ারেন্টাইন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেজন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডটি প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কিংবা করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সেখানে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তবে করোনভাইরাস পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় যন্ত্র নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি- বেসরকারি কোনো হাসপাতালে। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে সরকারের রোগতত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম জানান, ইতালি থেকে আসা তিন প্রবাসীকে আমাদের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে বুঝিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। তারা সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য কোনো নির্দেশনা নেই। যদি সন্দেহ হয় তাহলে আমরা আইইডিসিআর-এ পাঠাবো। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি মনে হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল অথবা চীন-মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে। কিন্তু এ ধরণের রোগী আমরা এখনও পাইনি।