‘যে সমস্ত দেশে করোনাভাইরাস অস্বাভাবিক মাত্রায় ছড়িয়েছে, সেই সমস্ত দেশ থেকে আসা বন্ধ না করলেও যিনি আসবেন তাকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের বাঙালি প্রবাসীরা যখন আসেন, তারা এটাতে খুব অসন্তুষ্ট হন।’-বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতকাল যারা দেশে এসেছেন, ন্যাচারালি তারা কোয়ারেন্টিনে যেতে চান না। দেশে আসছেন সুতরাং সাথে সাথে বাড়িতে যাবেন, এই আগ্রহ থেকে আসছেন। তারপরে আমরা যেখানে রাখব, আগেও ৩১২ জনকে ওখানে রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, তারা এসে সেখানে পছন্দ করেন নাই। বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বাথরুম হয়, তারা কমোড বাথরুম ইউজ করেন। সুতরাং তাদের অসুবিধা হয়েছে। আমরা পর্যটন করপোরেশন থেকে খাবার দিয়েছি, তারা মনে করেন, সোনারগাঁও… ফাইভ স্টার থেকে খাবার দেওয়া উচিত। আমরা সেটা দিতে পারিনি। সেজন্য তারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছিল। আর তারা মনে করেন এগুলো খুব নোংরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ষোল কোটি লোক কয়েকটি ছেলে-পেলের জন্য আক্রান্ত হোক, আমরা এটা চাই না। কারণ আমাদের বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা আছে। সমাজের দুর্বলতা আছে। সেজন্য আমরা ঠিক করেছি যে, ওদেরকে দূরে রাখার জন্য।
- আরও পড়ুন>> করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি সার্ক তহবিল গঠনের প্রস্তাব
- আরও পড়ুন>> পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১১ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল গঠন
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, স্কুলে বরং থাকলে কীভাবে হাত ধুতে হয়, পরিষ্কার কীভাবে থাকতে হয়, করোনাভাইরাসের যে বিভিন্ন রীতি-নীতি শিখবে। বাড়িতে গেলে ঘুমাবে। সেজন্য আমরা খোলা রেখেছি। যখন প্রয়োজন হবে, সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল, অত্যন্ত যত্নশীল, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে স্কুল বন্ধ হবে বলেও জানান তিনি।