করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত উষ্ণ পানীয় পানের অভ্যাস করুন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক রয়েছে। করোনা ভাইরাস গরম সহ্য করতে পারে না।
করোনা ভাইরাসের জীবাণু ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মারা যায়। আরেকটি বিষয় হলো, জীবাণুটি ছড়ায় কত ডিগ্রির নিচে? ২৩ ডিগ্রির ওপরে জীবাণুটি ছড়াতে পারে না। কারণ এই রোগটি মূলত ছড়ায় সর্দি, কাশির সময় মুখ থেকে যে লালা জাতীয় জিনিস বের হয় তার মাধ্যমে। এই লালা মাটিতে পড়ে কিংবা কোনো জিনিসে পড়ে। সেটি আরেকজন যখন ধরে এবং তার হাতে লাগে। এরপর সেই হাত যখন মুখে যায় তখন জীবাণু ছড়ায়।
কিন্তু ২৩ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় এই লালা মাটিতে বা অন্য কোথাও পড়লে তাপমাত্রার কারণে তা শুষে যায়। এবং ২৩ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় এটি কয়েক মিনিটের বেশি বাঁচে না।
তবে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার আগে জরুরি সতর্কতা হলো- করোনা ভাইরাস থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এজন্য কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা:
যত বেশি পারেন আপনার কণ্ঠনালীকে হালকা গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। কোনো অবস্থাতেই শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না।
অর্থাৎ তৃষ্ণা পেলেই পানি পান করুন। কণ্ঠনালী যদি শুষ্ক থাকে তবে মাত্র ১০ মিনিটেই আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
৫০ থেকে ৮০ সিসি হালকা গরম পানি পান করুন (বড়দের জন্য)। ৩০ থেকে ৫০ সিসি ছোটদের জন্য।
যখনই আপনি মনে করছেন আপনার কণ্ঠনালী শুকিয়ে আসছে, অপেক্ষা না করে দ্রুত পানি পান করুন।
সবসময় হাতের কাছে বিশুদ্ধ পানি রাখুন। একবারে প্রচুর পানি পান করে লাভ নেই। বরং অল্প অল্প বিরতিতে অল্প অল্প পানি পান করে কণ্ঠনালীকে সবসময় আর্দ্র করে রাখুন।
গরম এবং লবণের পানি দিয়ে গার্গল করলে তা এই ভাইরাসের জীবাণুকে মেরে ফেলে এবং ফুসফুসে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
যদি ভাইরাসটি ৩৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রকাশিত হয় তবে এটি মারা যাবে। কারণ এটি গরম তাপমাত্রায় থাকতে পারে না। এছাড়াও গরম পানি পান করা এবং সরাসরি সূর্যের তাপের নিচে থাকলে এটা এমনিতেই মারা যাবে। এই গরমে তাই আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবারও পরিহার করুন। জীবন বাঁচানোটাই বড় কিছু।