বাগেরহাটের ফকিরহাটে শনিবার বিকালে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। আরও অন্তত চারজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
নিহত সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার পূর্বতলা গাজিরা গ্রামের জগদীশ হাওলাদারের ছেলে অপূর্ব হাওলাদার (৩৬), একই জেলার রাজৈর উপজেলার লিয়াকত আলী খালাসীর পাঁচ মাস বয়সী শিশু লাফিজা আক্তার জান্নাতী, খুলনার হরিণটানা উপজেলার সাচিবুনিয়া গ্রামের ছিরু মিঞার স্ত্রী রুমি আক্তার (৩৫), বরগুনার তালতলী উপজেলার বথিরপাড়া গ্রামের সগীর খাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম (৩০) এবং কুষ্টিয়ার খাদা মজুপুর এলাকার মোশারেফ হোসেনের ছেলে আব্বাস উদ্দীন (৪৫)।
এর আগে শনিবার বিকালে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙা এলাকায় বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন মারা যান।
নিহতদের মধ্যে একটি পাঁচ মাস বয়সী শিশু, দুজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। এদের বাড়ি বাগেরহাটের বাইরের বিভিন্ন জেলায়।
ফকিরহাট থানার ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম রবিবার সকালে বলেন, ফকিরহাটে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত আর দুই বাস যাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নারীসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
বাগেরহাট কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত এই যাত্রীদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের বাইরের বিভিন্ন জেলায়। নিহতদের স্বজনরা পুলিশের কাছে এসে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। আজ স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লোহার রড বোঝাই ট্রাকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই ট্রাকের সামনের ডানপাশের চাকা ফেটে যায়। এতে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ট্রাকের চাকা ফেটে যাওয়ায়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।