আবরার হত্যা মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে

আদালত প্রতিবেদক

আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইবুনাল-১ এ স্থানান্তর করে আদেশ জারি করেছে সরকার।

জানা যায়, ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলা স্থানান্তর করে আদেশ জারি করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ১২ জানুয়া‌রি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম মামলা‌টি বিচা‌রের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদ‌লির আদেশ দেন। ওই‌দিনই প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠা‌নিকতা শেষে বদ‌লি আদালতে মামলা‌টি স্থানান্তর হয়।

গতবছর ১৩ ন‌ভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল ক‌রেন গো‌য়েন্দা পু‌লিশের (ডি‌বি) লালবাগ জোনাল টি‌মের প‌রিদর্শক মো. ওয়া‌হিদুজ্জামান। ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। প‌রোয়ানা অনুযায়ী গ্রেপ্তার কর‌তে না পারায় গত ৩ ডি‌সেম্বর তা‌দের সম্পদ ক্রোকের নি‌র্দেশ দেওয়া হয়। ৫ জানুয়া‌রির ম‌ধ্যে ক্রোকি পরোয়ানা তা‌মিলের নি‌র্দেশ দেওয়া হ‌য়।‌

এরপর গত ৫ জানুয়া‌রি পলাতক আসা‌মিদের হা‌জিরে বিজ্ঞ‌প্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞ‌প্তি প্রকাশের বিষয়ে প্র‌তিবেদন দা‌খিলের এক‌দিন আগে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম নামের পলাতক এক আসা‌মি আদাল‌তে আত্মসমর্পণ ক‌রে জা‌মিন আবেদন করেন। আদালত জা‌মিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

মামলায় পলাতক রয়েছেন আরো তিন আসা‌মি। এরা হ‌লেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর ম‌ধ্যে মোস্তবা রা‌ফিদের নাম এজাহারে ছিল না।

প‌ত্রিকায় বিজ্ঞ‌প্তি প্রকাশের পরও পলাতক বা‌কি আসা‌মিরা হা‌জির না হলে তাদের অনুপ‌স্থি‌তিতেই বিচার শুরু হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জন। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে