দেশের আরও দুইজনের শরীরে কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। অন্যজন আক্রান্ত হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা এক প্রবাসীর মাধ্যমে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। নতুন করে যে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন, তারা পুরুষ। একজন ইতালি থেকে আসা, আরেকজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন। একজন ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে, আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। দেশে এখন মোট ১৬ জন আইসোলেশনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৩ জন।
এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ পরীক্ষা করে গার্মেন্টস কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করানোর জন্য গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস কর্মীদের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকলে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। যতদিন তারা সুস্থ না হবেন ততদিন তাদেরকে সবেতনে ছুটি দেয়ার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কোনো কারণে গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, এ পরামর্শ শুধু গার্মেন্টসের জন্যই নয়, অন্যান্য যে সকল প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন, তাদেরকেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্টসের বিদেশি বায়াররা না আসলেই ভালো। তবে যারা এসেছেন তারা যেন যে সকল স্থানে জনসমাগম রয়েছে সেখানে ভ্রমণ না করেন।