সিরাজগঞ্জের তারাশে একটি কলেজের নির্মাণাধীন গেটের ছাদ ধসে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার বিকালে তাড়াশ উপজেলার শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাড়াশ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুলাহ আল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন উপজেলার তালম ইউনিয়নের গাবরগাড়ি গ্রামের জাহিরুলের ছেলে তোজাম্মেল হক (৫৬), তালম নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আসিফ (১৬) ও বারুহাঁস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের সুলতানের ছেলে রাশিদুল (২৭)। নিহত আরেকজনের নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
আহতদের দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- তালম গ্রামের শাহিনুরের ছেলে বাবু (২২) ও লাউসন গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২)। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ শহীদ মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের গেটে কোনো রকমের রড ব্যবহার ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মাহমুদ জানান, গুল্টা হাটে হাটবার থাকায় ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের নির্মাণাধীন গেটের ছাদের নিচে গরু-ছাগল বিক্রির ক্রেতা-বিক্রেতারা বসেছিলেন। এ সময় আচমকা গেটের ছাদটির ওপরের অংশ তাদের মাথার ওপর ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়।
- আরও পড়ুন >> ওমরাহ যাত্রীসহ ৩৯৪ জনকে নিয়ে ফিরছে বিমান
তাড়াশের ইউএনও ইফফাত জাহান বলেন, এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। নিহতদের লাশ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে।
এ ব্যাপারে শহীদ এম এ মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ উজ জামান বলেন, গুল্টা মিশনের অর্থায়নে এ গেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আমাদের কোনো কমিটি নেই, আমরা গেটটি করিও নাই।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।