করোনা : বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের কঠোর পদক্ষেপ চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঝুঁকি মারাত্মক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে সতর্কবার্তায়।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কম। কিন্তু এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছে, এমন দেশগুলোতে সঠিকভাবে পরীক্ষা না হওয়ার ফলেও এমনটি হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে এই দেশগুলো সামনে ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে।

universel cardiac hospital

পরীক্ষা করতেই হবে। সর্দি-কাশির সামান্য লক্ষণ দেখলেই যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে নতুন সতর্কবার্তায় এমন কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তাদের বার্তার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইন- ‘টেস্ট, টেস্ট এন্ড টেস্ট’।

ইউরোপ, আমেরিকার মতো পশ্চিম বিশ্বে কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে করোনা ভাইরাস। তার আগে চীনে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। গোটা বিশ্ব কার্যত অবরুদ্ধ। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, আমেরিকায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

কিন্তু সেই তুলনায় ভারতীয় উপমহাদেশ কিংবা আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। এর কারণ কি এ সমস্ত জায়গায় করোনার প্রকোপ কম, না কি সাধারণ মানুষ করোনার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে যাচ্ছেন না? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তাতেও সে প্রশ্নেরই ইঙ্গিত রয়েছে। তথ্য বলছে, অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে সাধারণ মানুষ শরীর খারাপ হলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ১০ লক্ষে চার হাজার ৮০০ জন মানুষ করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন। সেখানে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে করোনা পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন মাত্র তিন জন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণ কতটা ঘটছে, এখনও তা স্পষ্ট করে বোঝাই যাচ্ছে না। প্রথম পর্বে চিকিৎসা হলে করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু তা চেপে রাখলে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মৃত্যুর হার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠছে। এ সমস্ত দেশে করোনা পরীক্ষা করার যথেষ্ট বন্দোবস্ত আছে তো?

ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৩। এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৭ এবং এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা দশ জন।

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে