প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) নিয়ে চলমান সংকটের জেরে এবার দেশের সব বার বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক মো. মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব হোটেল বার, রেস্টুরেন্ট বার ও ক্লাব বার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হলো। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (উত্তর) খুরশীদ আলম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রথমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বার বন্ধ রাখার এ নির্দেশনা শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বাংলাদেশে মোকাবেলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। তবে ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
অপরদিকে স্বাস্থ্যখাতে যুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব চলাকালীন ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে যুক্ত সব কর্মকর্তা, নার্স, চিকিৎসকের ছুটি প্রাপ্য হবেন না।
এ ছাড়া বিদেশফেরত ব্যক্তিরা বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এক জরুরি নির্দেশনায় এ শাস্তির কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
- আরও পড়ুন >> যথাসময়ে তিনটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন: ইসি সচিব
- আরও পড়ুন >> আতঙ্ক নয়, শক্ত থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
- আরও পড়ুন >> রাষ্ট্রপতির কাছে জরুরি অবস্থা জারির আবেদন তিন আইনজীবীর
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। এ ভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৯,৩০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৯৭১ জন।