করোনা প্রতিরোধে মাদারীপুরের শিবচর লকডাউন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

লকডাউন
ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। তবে ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবচর লকডাউনের ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান।

universel cardiac hospital

বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিবচর উপজেলার ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান বাদে সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যেহেতু শিবচর করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে সেহেতু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে। বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন না মানে তাহলে শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হবে।

এর আগে করোনার কারণে প্রয়োজনে শিবচর,মাদারীপুর ও ফরিদপুর লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিবচর,মাদারীপুর ও ফরিদপুর এলাকা ভালনারেবল। এসব অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে বেশি মানুষ এসেছে। সেখানেই বেশি নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লকডাউন করা হবে। তার এই বক্তব্যের পরই বিকেলে শিবচর লকডাউন করা হলো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু এলাকা আছে যেখানে বিদেশ ফেরত অনেক মানুষজন কোয়ারেন্টাইন মানছেন না, কিছু এলাকায় অনেক বেশি বিদেশ ফেরত মানুষ অবস্থান করছেন। এসব এলাকাও প্রয়োজনে লকডাউন করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রয়োজনে লকডাউন করার কথা ভাবছে সরকার।

এর আগে মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, মাদারীপুরে ২১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুজনকে ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দুটি কেবিনের চারটি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) দেয়া তথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে