আগামী শনিবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন। কিন্তু এ নির্বাচনে কোনো আমেজ বা উত্তাপ নেই। নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। এলাকার বেশিরভাগ লোক জানেন না কবে হবে এই উপ-নির্বাচন। এলাকায় কোনো মিছিল নেই, মিটিং নেই, মাইকের শব্দ নেই। এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাওয়ারও সেই পুরোনো রীতিও চোখে পড়ছে না। এক কথায় আগামী শনিবার ঢাকা-১০ আসনে নিরুত্তাপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
হাশেম শেখ জিগাতলার মনেশ্বর রোডে বাস করেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। সকালে অফিসে গিয়ে বাসায় ফেরেন রাতে। আগামী শনিবার ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন এই খবরটা তার জানা নেই। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনার এলাকায় উপ-নির্বাচন কবে হচ্ছে। তিনি বলতে পারেননি। আজহার আলীর মতো ঢাকা-১০ আসনের আরও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের। তাদের অধিকাংশই বলতে পারেননি কবে হবে তাদের আসনের উপ-নির্বাচন।
এ খবর না জানার কারণ হিসেবে তারা বলেন, এলাকায় নির্বাচনের কোনো প্রচারণা নেই, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নেই। গত মেয়র নির্বাচনের সময় পোস্টার, ফেস্টুনে আাকাশ ঢেকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল। তাছাড়া প্রতিটি পাড়া মহল্লার লোক রাস্তায় নেমে এসেছিল। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চলতো। এখন তো সে অবস্থা নেই। সে কারণেই অধিকাংশ লোক জানে না ভোটের খবর। এছাড়া লোকজন আরও বলছেন, করোনার যে আতঙ্ক তার মধ্যে ভোট দিতে যাওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান মত ও পথকে বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঢাকা-১০ আসনের জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল পরিবর্তন করেছি। বড় ধরনের কোনো সমাবেশ, মিছিল বা বৈঠকও করছি না।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে তাই নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা ডিজিটালের দ্বারস্থ হয়েছি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
এত প্রচার-প্রচারণার পরেও গত মেয়র নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল, এবার এ অবস্থায় কি ভাবছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুর রহমান বলেন, আমরা মানুষকে বুঝাচ্ছি ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। ভোটার উপস্থিতি যাতে বাড়ে সে জন্য আমরা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রয়োজন বোধে পরিবহন সুবিধা দেয়ার কথাও ভাবছি। ঢাকা-১০ আসন এলাকায় যানচলাচল বন্ধ করা হবে না।