হার নিশ্চিত ছিল, তাই আর শক্তিপরীক্ষায় গেলেন না মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে শক্তিপরীক্ষার আগে তিনি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারালো কংগ্রেস এবং বিজেপি আরও একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই স্পিকার ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ইস্তফা স্বীকার করে নেন। এ ছাড়া বিজেপি থেকেও একজন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার ইস্তফাও গ্রহণ করে নেন তিনি। আগেই ছয়জন বিধায়কের ইস্তফা তিনি গ্রহণ করেছিলেন। ফলে পরিষ্কার হয়ে যায়, কমলনাথের পক্ষে আর ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়।
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর তার প্রাক্তন সহকর্মী এবং বর্তমানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রবল সমালোচনা করেছেন কমলনাথ। একই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন বিজেপি’র। তার দাবি, ‘’সকলে দেখেছেন, কীভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হলো। কীভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিল বিজেপি। কীভাবে ক্ষমতালোলুপ মহারাজা তার অনুগামী ২২ জন লোভী বিধায়ককে প্রভাবিত করলেন।’
গোয়ালিয়ার রাজপরিবারের সন্তান বলে জ্যোতিরাদিত্যকে তার অনুগামীরা ‘মহারাজ’ বলে ডাকেন।
- আরও পড়ুন >> করোনা আতঙ্কের মধ্যে তিন আসনে ভোট কাল
বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবার সরকার গঠনের দাবি পেশ করবেন। ২৩ জন বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হওয়ার পর তার কাছে সরকার বানাবার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে। তবে তার ও কমলনাথের সামনে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে, ওই ২৩টি আসনে যখন উপনির্বাচন হবে, তখন দলকে জিতিয়ে আনা। কমলনাথ তখন দলের প্রার্থীদের জেতাতে পারলে আবার মধ্যপ্রদেশে পালাবদল হতে পারে। না হলে বাকি সাড়ে তিন বছর তাকে বিরোধী আসনেই বসতে হবে। -ডয়চে ভেলে