জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে ডাকা জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আপাতত হচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
অধিবেশন স্থগিতের বিষয়ে ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আজই রাষ্ট্রপতি বিষয়টি অনুমোদন দিতে পারেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
তবে জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, অধিবেশনের দিন সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের যে কর্মসূচি ছিল তা ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। সবার আগে দেশে এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সেই বিবেচনায় অধিবেশনও স্থগিত হতে পারে। শনিবার বিষয়টি জানতে পারবেন।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি ফাইল প্রস্তুত হয়েছে। তবে এখনো বঙ্গভবনে আসেনি।’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ২২ ও ২৩ মার্চ দুই বিশেষ অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২২ মার্চ বেলা ১১টায় অধিবেশন বসার কথা ছিল। অধিবেশনের আগে সকাল সাড়ে নয়টায় সংসদ সদস্যদের ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কথা। এরপর অধিবেশনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ওপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। এছাড়া কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭-এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর সংসদ সদস্যরা সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশনে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা আসবেন না। তবে ২২ ও ২৩শে মার্চ দুই দিনের এ বিশেষ অধিবেশন বসবে বলে জাতীয় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আপাতত সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।