গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। চীন থেকে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও মৃত্যুর সংখ্যায় এক নম্বরে ইতালি। করোনার ভয়াল থাবা পড়েছে সমগ্র ইউরোপজুড়েই। আর এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ ভাইরাসে। তারমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন মানুষ।
ইতোমধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। মারা গেছেন একজন। ভুক্তভোগী সবাই বিদেশ ফেরত বা তাদের সংস্পর্শে থাকা। তাই বিদেশ থেকে কেউ দেশে এলেই তাকে সেচ্ছা গৃহবন্দী বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অনেকে নিয়ম মানছেন না, তবে কেউ কেউ দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন।
তাদের একজন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। তার মেয়ে থাকেন লন্ডনে। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন নন্দিত এ গায়িকা। আর দেশে এসেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন রুনা লায়লা। সেখানে লিখেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী এখন একটা সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের সবাইকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে হবে। একে প্রতিরোধের সব পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু নিজেকে নয়, চারপাশের সবাইকে বিষয়টি সম্পর্ক সচেতন করতে হবে। ঘরে এবং বাইরে আমাদের সবাইকে সরকারের নির্দেশনা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও লিখেন, সম্প্রতি যিনি বিদেশ ভ্রমণ করে ফিরেছেন, তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে এটা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সংস্পর্শে এসে কেউ যেন ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই মুহূর্তে কোনো ধরনের জনসমাগমে যাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। দেশ ও পৃথিবীর একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আমার নিজের শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও আমি স্বেচ্ছায় আমার পরিবার আর গৃহকর্মীদের নিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ মেনে চলছি। আমার পরিবারের অন্য সদস্য এবং স্টাফরা এই নিয়ম মেনে চলছে। সবাই একবার ভাবুন।
শেষদিকে তিনি লিখেন, ‘সতর্ক থাকুন এবং সবকিছু থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখুন, অন্যদেরও নিরাপদে রাখুন। সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুন।’
রুনা লায়লা জানান, স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে তিনি গান শুনে ও বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। পরিচিতজনদের খোঁজ-খবরও নিচ্ছেন।