প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি করায় রাজধানী ঢাকায় ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৬টায় যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে অভিযান চালিয়ে এ জেল-জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, করোনার কারণে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকের মধ্যেই এক দিনে কয়েকমাসের বাজার করার প্রবণতা দেখা গেছে। এই সুযোগে আমাদের কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম ৩-৪ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
সারোয়ার আলম বলেন, আমরা দেখেছি, পাইকারি বাজারে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (১৮ ও ১৯ মার্চ) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৮ থেকে ৩১ টাকা। গতকাল তারা পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছে। অথচ এটা পেঁয়াজের সিজন। দেশে প্রচুর মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়ারা মিলে এই কাজগুলো করেছেন। এ পর্যন্ত ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫ জনকে ৬ মাস থেকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা এই করোনাভাইরাস বা মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এছাড়াও জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করব আপনারা একইসঙ্গে ২-৩ মাসের বাজার করবেন না। আপনারা সর্বোচ্চ ৭ দিনের বাজার করতে পারেন। সবাই এভাবে কেনাকাটা করতে গেলে দাম বাড়িয়ে ফেলবে তারা।
ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কে কত টাকা নিচ্ছে তা নজরদারি করছি। সব ক্রেতাদের অনুরোধ করছি, আপনারা ভাউচার ছাড়া কেউ পণ্য ক্রয় করবেন না। আমরা দেখতে চাই, কে কোন পর্যায়ে কত টাকা বাড়িয়েছেন।