করোনাভাইরাস: ৭ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাক তৈরির কারখানা
ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে ক্রেতারা। ফলে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে মালিকরা। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সাতটি কারখানা বন্ধ হয়েছে। রফতানি বন্ধ ও ক্রয় আদেশ স্থগিত হওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মালিকরা নিজেরাই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করেছেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম।

universel cardiac hospital

তিনি জানান, শ্রম আইনের বিধিমালা অনুসরণ করে সাতটি কারখানা নিজেরাই বন্ধ করেছে। শৃঙ্খলার বিষয়টি বিবেচনা করে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের নাম বলতে রাজি হননি পোশাক মালিকদের নেতা ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম।

তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮৮৪ টি পোশাক কারখানার ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭ হাজারটি ক্রয় আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ দশমকি ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানায় ১৪ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

আসিফ ইব্রাহিম জানান, বিজিএমইএর প্রত্যেক সদস্যকে জানানো হয়েছে যে, যদি তারা কারখানা বন্ধ করেন তাহলে শ্রম আইনের সমস্ত বিধিমালা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করতে হবে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী সাতটি কারখানা নিজেরা বন্ধ করেছেন।

এর আগে সোমবার সার্বিক বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ক্রেতারা সব ধরনের ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। আগামী এপ্রিল, মে ও জুনের অর্ডারও ইতোমধ্যে বাতিল করছেন ক্রেতারা।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক, পোশাক শ্রমিকেরা সময় মতো মজুরি পাবেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে শ্রমিকের বেতন দেয়া, আগামী তিন মাসের জন্য। যাতে কোনো শ্রমিক অভুক্ত না থাকে। এটি আমাদের সবচেয়ে জরুরি এবং প্রাথমিক দায়িত্ব। সবাই সেলারি শিট তৈরি করুন, গত তিন মাস কি করেছেন না করেছেন, সমস্ত ক্লিয়ার রাখুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি সব সময়ই আপনাদের পাশে পাবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে