করোনায় মে মাসের মধ্যে ভারতে মারা যাবে ৩০ হাজার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনাভাইরাস
ফাইল ছবি

ভারতে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ‘করোনা সুনামি’ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে প্রথম ১৪ দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০ জন। পরের পাঁচদিনে বেড়ে দাঁড়ায় ১০০। এর পরবর্তী তিনদিনে ১৫০ জনে পৌঁছায়। পরের দু’দিনে আরও ৫০ জন বেড়ে দাঁড়ায় ২০০ জনে। এরপরের দিনে এক লাফে ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। ভারতে এখন প্রতি দু’দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

universel cardiac hospital

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, ভারতে মে মাসের মধ্যে মারা যাবে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। আক্রান্ত হবে ১০ লাখের কাছাকাছি। আর মে মাসের শেষ বা জুনের প্রথম দিকে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কোনো সিট খালি থাকবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানায়, জৈব-পরিসংখ্যানবিদদের একটি দল প্রিডেকটিভ মডেল ব্যবহার করে ভারতের চিত্র আরও ভয়াবহ বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, নিহতের সংখ্যা ডব্লিউএইচও’র পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ মে’র মধ্যে ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

ভারতীয় সফটওয়্যার উদ্যোক্তা মায়াঙ্ক ছাবরা এক পূর্বাভাসে আরও ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন। তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে ভারতে মারা যাবে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ৫০ লাখ।

এপ্রিল মাসের মধ্যে দেশের হাসপাতালে কোনো সিট খালি থাকবে না। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের ২০১৭ সালের তথ্যানুসারে, দেশটির হাসপাতালে প্রতি দুই হাজারের ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ মাত্র একটি বেড। দেশটিতে জরুরি কেয়ার বেড এবং ভেন্টিলেটর কয়টি আছে তার কোনো সরকারি হিসাব নেই। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভারতে ভেন্টিলেটর আছে মাত্র চার হাজার। দেশটিতে আইসিইউ বেড আছে অন্তত ৭০ হাজার।

করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজনের যদি জরুরি আইসিইউ বেড প্রয়োজন হয় তাহলে আগামী মে মাসের মধ্যে আর কোনো সিট খালি থাকবে না।

করোনা আক্রান্তের জ্যামিতিক হার বিবেচনায় নিয়ে এ পূর্বাভাস দিয়েছেন মায়াঙ্ক ছাবরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়নামিকস, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির পরিচালক বলেছেন, ভারতে করোনার ‘সুনামি’ বয়ে যেতে পারে।

দেশটিতে ৩০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক হতে পারে। সিডিডিইপির পরিচালক চিকিৎসক রামানান লক্ষ্মীনারায়ণ সতর্ক করে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে ধরনের গাণিতিক মডেলে এগিয়ে একইভাবে যদি ভারতে হানা দেয় তাহলে দেশটিতে ৩০ কোটি মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারেন।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে