কেনাকাটায় নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিতে লালবৃত্ত এঁকে দিচ্ছে ডিএমপি

বিশেষ প্রতিবেদক

কেনাকাটায় নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করা

করোনার সংক্রমণরোধে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সারাদেশে। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অঘোষিত এই লকডাউনের মধ্যেও জরুরি কাজে বা কেনাকাটার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি। সর্বত্রই বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। যদিও জীবন থেমে থাকে না। অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি কিংবা ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন নিকটস্থ দোকান বা ফার্মেসিতে।

universel cardiac hospital

সংক্রামক এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে রাস্তায় নেমে বিশেষজ্ঞ কর্তৃক অনুমোদিত ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপও নিয়েছে ডিএমপি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরে বেশকিছু ফার্মেসিতে দেখা যায় সাধারণ জনতাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাস যেহেতু একটি সংক্রামক রোগ। তাই রাস্তায় নেমে জনসাধারণকে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানায় ডিএমপির গুলশান বিভাগ।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্যারের নির্দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে জনসাধারণকে বোঝানো হচ্ছে কীভাবে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাতে তিনি, তার পরিবার, আমি-আমরা সকলে নিরাপদ থাকতে পারি।

এ ব্যাপারে বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গুলশান-২ নম্বর সংলগ্ন ফার্মেসির সম্মুখে লাল কালিতে বিশেষজ্ঞদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী ন্যূনতম বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সম্মানিত ক্রেতাগণ স্বচ্ছন্দে নির্দিষ্ট দূরত্বে চিহ্নিত স্থানে অবস্থান করে ওষুধ ক্রয় করছেন। এতে করে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে