চীনা সুপার লিগের (সিএসএল) দলগুলো করোনা ভাইরাসের স্থগিতাদেশ কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছে। লিগটি কবে মাঠে গড়াবে সেটা এখনো পরিষ্কার না হলেও ফুটবলারদের মাঠে ফেরাটা নতুন আশা জাগাচ্ছে চীনা ফুটবলে।
করোনা ভাইরাসের প্রথম কেন্দ্রস্থলটা চীনে হলেও সেটা কাটিয়ে উঠছে দেশটি। তার রেশ পড়েছে দেশটির ফুটবলেও। প্রায় দুই মাস পর গত সোমবার চীনা সুপার লিগের ১৬টি দলের সবাই অনুশীলনে ফেরে। মধ্য এপ্রিলকে সিএসএলের মাঠে ফেরার সময় ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু মারওয়ান ফেলাইনির করোনাক্রান্ত হবার খবর এটিকে আরো কিছুদিন পিছিয়ে দেয়।
চীনে ফুটবল মাঠে ফেরার দিনক্ষণ ঠিক না হলেও প্রতিবেশী জাপানে জে লিগ শুরু হবে ৯ মে। তার পরও দীর্ঘ অবসরের পর অনুশীলনে ফিরতে পেরেই খুশি খেলোয়াড়রা। সাংহাই এসআইপিজি দলের ডিফেন্ডার ইয়ু হাই বলেন, ‘আমরা ভালো মানের অনুশীলন করেছি। বিশেষ করে শক্তি আর কন্ডিশনিংয়ের দিকে মনোযোগী ছিলাম।’
তবে অনুশীলনে ফেরার পরেও সতর্কতায় ছাড় দিচ্ছে না দলগুলো। অনুশীলন সেশনে একে অপরের চেয়ে বেশ দূরত্ব রেখেই কাজ করে যাচ্ছিলেন খেলোয়াড়রা। স্বেচ্ছা নির্বাসন আর কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় সব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ এখনো ক্লাবে যোগ দেননি।
তবে মৌসুম শুরু হলে সূচিটা বেশ কঠিনই হবে বলে মনে করছেন এসআইপিজির অধিনায়ক ওয়াং শেঞ্চাও। তিনি বলেন, ‘মৌসুমটা শুরু হলে ম্যাচের সূচির তীব্রতা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে ব্যাপারটা সবার জন্যেই সমান থাকবে। যাদের মানসিক শক্তি আর শারীরিক প্রস্তুতি ভালোমানের হবে তারাই একে সামলাতে পারবে।’