ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্রিটেনের রাজপরিবার এমনকি পুরো দেশের জন্যই এটা খুব আতঙ্কের খবর।
ইউসিআর ওয়ার্ল্ড নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানির শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লসও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে রাজপরিবারের তরফ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ কিছু রাজকীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস। এসব অনুষ্ঠান থেকে কোনভাবে তার শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজকীয় দায়িত্বের অংশ হিসেবেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয় প্রিন্স চার্লসকে। রাজপরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, প্রিন্স চার্লস স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়ালকে নিয়ে স্কটল্যান্ডে আইসোলেশনে আছেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটির শরীরেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তার করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না হলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনি নিজেই সাতদিনের সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন।
দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও বেশি উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশের পর থেকেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা নিয়ে আগেই গুঞ্জন উঠেছিল। কারণ প্রতি সপ্তাহেই রানির সঙ্গে সাপ্তাহিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, গত ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জনসনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন রানি। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, করোনায় আক্রান্ত হলেও রানির স্বাস্থ্য ভালো ও স্থিতিশীল রয়েছে। তার শরীরে করোনার লক্ষণ তেমন গুরুতর নয়।