বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা বা কোভিড ১৯ এর তাণ্ডব।গত এক শতাব্দীতে এমন সংকটে মানব জাতি আর পড়েনি। খুব দ্রুত এই করোনাভাইরাসটি বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে উন্নত দেশসহ বিশ্বের সমস্ত দেশের সামাজিক কার্যক্রমসহ অভ্যন্তরীণ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। এ ভাইরাসের দৌরাত্ম্যে মানব জাতি এখন সম্পূর্ণভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
এমন বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশও নিরাপদ নয়। এই ভাইরাস বাংলাদেশও সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে আঘাত হেনেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী বিশাল এই জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রাণনাশের দিক থেকে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধানের স্বার্থে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও অতি প্রয়োজনীয় চলাচলের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আমরা মনে করি, এই মহা সংকট থেকে উত্তরণ পেতে হলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বাঙালি জাতি কোন সংকটেই ঘাবড়ে যায় না। বরং ঐক্যবদ্ধভাবে সংকটকে মোকাবেলা করতে পছন্দ করে। করোনার বিরুদ্ধে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্যকে কাজে লাগাতে হবে। করোনা প্রতিরোধে যথাযথ নিয়ম মানতে হবে। সব ধরনের জনসমাগম বর্জন করতে হবে। সন্দেহ ভাজন ও বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন থাকা আবশ্যক। বার বার সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধৌত করতে হবে। সর্বোপরি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণি তথা দরিদ্র মানুষগুলো। তাদের রুটি-রুজির পথ সম্পূর্ণ বন্ধ। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকারের পাশাপাশি যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদের প্রত্যেককে মানবতার ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াঁতে হবে। তাদের ঘরে থাকার জন্য দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সবশেষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনাকে প্রতিরোধের মাধ্যমে মহাদুর্যোগ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করাই হউক আমাদের অঙ্গীকার।