মুজিববর্ষের বিক্রি শেষ করে ন্যায্য মূল্যে রোজার পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ বুধবার সকালে ৩৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্রি শুরু হয়েছে পণ্য।
টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি মত ও পথকে নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২০ মে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
ভোগ্যপণ্যের সরকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান টিসিবি রোজা উপলক্ষে আপাতত চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল-এই তিনটি পণ্য বিক্রি করছে। রোজার আগে ১০ এপ্রিলের পর ছোলা ও খেজুর বিক্রি শুরু করা হবে বলে সংস্থাটির মুখপাত্র।
টিসিবি চিনি ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা ও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। আর ছোলা ও খেজুরের দাম নির্ধারিত হবে বিক্রি শুরুর সময়। ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থাকবে ৫০টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ১০টি ও জেলা সদরে চারটি করে।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি, যা গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছু পণ্যের দাম কমলেও আবার বেড়েছে কয়েকটির। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। বিপরীতে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। দুই থেকে চার টাকা বেড়ে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায়। এ ছাড়া চাল, ডাল, চিনি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে।
সবজির দামের তেমন পরিবর্তন হয়নি। কিছু মৌসুমি সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে। এর মধ্যে টমেটো ও শসা অন্যতম। গতকাল অনেক বিক্রেতাকে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করতে দেখা যায়। শসা বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এ ছাড়া করলার মৌসুম শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়লেও দাম এখনো ৪০ টাকাই রয়েছে। আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া গরুর মাংস আগের দর ৫৮০ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেক বাজারে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ক্রেতা না থাকায় সারা দিনে একটি গরুও বিক্রি শেষ করা যায় না। তাই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম আরো কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।