নতুন করে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব বিচারিক আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এর আগে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।দেশব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবং এর বিস্তার রোধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট এবং উভয় বিভাগসহ দেশের সব অধস্তন আদালতের ছুটি বর্ধিত করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ বিষয়ে ০১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যেহেতু সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এটা বিবেচনায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ছুটির নোটিশে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবং এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও সব অধস্তন আদালতসমূহে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
এর আগে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল কোর্ট প্রশাসন।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিমদের উদ্দেশে ৪ এপ্রিল আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
এছাড়াও বিচারক, আইনজীবী ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতের বিচার কাজ সীমিত করা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
গত ২৩ মার্চ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ অবস্থায় ২২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে জামিন ও জরুরি বিষয় ছাড়া মামলার বিচার কাজ মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এরও আগে গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি প্রিজন ভ্যান বা অন্য কোনোভাবে কারাবন্দি আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করতে দেশের সব অধস্তন আদালতের প্রতি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিদের কারাগারে রেখেই জামিন শুনানি করার নির্দেশ দেয়া হয়।