বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জরুরি সহায়তার প্রথম ধাপের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
প্রথম দিকের প্রকল্পগুলোতে ২৫টি দেশকে ১৯০ কোটি ডলারের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
তবে এই জরুরি সহায়তার অর্ধেকেরও বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের জন্য। দেশটিতে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তকরণ, কীভাবে তারা আক্রান্ত হয়েছেন, তার অনুসন্ধান, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ও নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনে ১০ লাখ ডলারের সহায়তা দেয়া হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপে সহায়তা করতে আগামী ১৫ মাসে ১৬ হাজার কোটি ডলার সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
দেশগুলো যাতে নিজেদের অর্থনৈতিক ক্ষত ও স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে, সে জন্যই এই সহায়তা বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
স্বল্প সময়ে বিপদ থেকে উদ্ধার, প্রবৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি করা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তায় এই অর্থনৈতিক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, দরিদ্রতর ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে করোনাভাইরাস কঠিন আঘাত হানতে পারে। কাজেই চলমান সংকট উত্তরণে আঞ্চলিক ও দেশভিত্তিক সমাধানে জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে বিস্তৃত ও দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
মহামারী আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাস তিন মাসে কেড়ে নিয়েছে ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ; আক্রান্তের সংখ্যাও ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজারের মতো মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত নাগাদ বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২০৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের এই ভাইরাসে মার্চ মাসের শুরুর দিনও মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের মতো।
তার পর এক মাসেই ৪৭ হাজারের মতো মৃত্যু দেখতে হলো এই বিশ্ববাসীকে এবং এই মহামারীর শেষ কোথায়, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি কোনো গবেষক।