এখন এই লকডাউনের সময় বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরেই দুটি হাত খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হচ্ছে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে।
শুধু তাই নয়, বাড়িতে থাকলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত ধুয়ে নিচ্ছি আমরা। চিকিৎসক ও বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এর ফলে যাতে হাতের তালু ও ত্বকের কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য ধোয়ার পর দুটি হাত খুব ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।
তাদের বক্তব্য, হাতে পানি থেকে গেলে ‘হাজা’ হতে পারে। হতে পারে এগজিমাসহ নানা ধরনের চর্মরোগ। ঘা হতে পারে হাতের তালুতে। তার ফলে ডায়াবেটিস বা কিডনির অসুখে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন যারা, তাদের আরও নানা রকমের বাড়তি অসুখ হতে পারে।
তাই হাত ধুয়ে খুব ভালোভাবে মুছে ফেলাটা খুব জরুরি। হাত ধোয়া নিয়ে এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার পত্রিকা এসব তথ্য জানিয়েছে।
হাত ধোয়ার পর কী কী করতে হবে
চিকিৎসকদের বক্তব্য, হাত ধোয়ার পরেই তা খুব ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। যাতে জলকণা থেকে না যায়।
তারপর হাতের তালুতে ভালো হ্যান্ড ময়েশ্চারাইজার বা অ্যান্টিবায়োটিক লোশন মেশানো ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। যাতে হাতের তালুকে রক্ষা করা যায়। যদি গ্লাভস পরি, তা হলে তার আগে হ্যান্ড ময়েশ্চারাইজার বা অ্যান্টিবায়োটিক লোশন মেশানো ময়েশ্চারাইজার মেখে নেয়াটা খুব প্রয়োজন। না হলে গ্লাভসের মধ্যে হাতের তালু ঘেমে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হাত ভালোভাবে না মুছলে কী কী ক্ষতি হতে পারে
বিউটিশিয়ান শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা জানাচ্ছেন, হাতের তালুতে কোনো ছিদ্র থাকে না, যা থাকে আমাদের ত্বকে।
তাই আমাদের হাতের তালু তুলনায় বেশি রুক্ষ। বারবার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলে হাতের তালু আরও রুক্ষ হয়ে যাবে। সব রকমের স্যানিটাইজারও গুণমানে উৎকৃষ্ট নয়। তার মধ্যে ইথাইল অ্যালকোহল থাকার কথা। শর্মিলা বলেন, ‘অনেক হ্যান্ড স্যানিটাইজারেই এখন ইথাইল অ্যালকোহলের পরিবর্তে মিথাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ঘা, হাজা, এগজিমাসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে।’