এপ্রিল মাসে করোনার প্রকোপ আরও বাড়বে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাসটি নিয়ে চিন্তায় আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য দুঃসময়ের মাস হিসাবে আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য খুবই দুঃসময়ের মাস হিসাবে আসছে। এটা সব জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি।‘
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রমে সমন্বয় করতে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য সকল বিভাগের জেলাসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেও সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখনই আমরা উন্নয়ন কাজে হাত দেই। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি অর্জন করি। ২০২১ একুশ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব এই প্রস্তুতি ছিল। সমাজের একেবারে সবার ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো করোনা বলে একটা ভাইরাস সারা বিশ্বে প্রলয়ের সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে আজ সবকিছু স্থবির। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশ্বে ২০২টা দেশ ভুক্তভোগী। আমরা শুরু থেকে চেষ্টা করছি মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই ভাইরাসটা কিভাবে প্রভাবিত হয় এটা একটা অঙ্কের মতো।’
শেখ হাসিনা বলেন, `আমাদের দেশে এপ্রিল মাসে করোনা আরও ব্যাপকভাবে আসবে। এই মাস নিয়ে আমি চিন্তায় আছি। এর লক্ষণও আমরা দেখছি। আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যাতে আমাদের মানুষের ক্ষতি কম হয়। তবে এটা ঠিক একটা স্থবিরতা এসেছে সবক্ষেত্রে। আমরা অর্থনীতির যে গতি সৃষ্টি করেছিলাম এটা স্থবির হয়েছে শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বের একই অবস্থা।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের অসুস্থতা দেখা দিলে তাকে যথাস্থানে খবর দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের প্রচুর চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে।