করোনাভাইরাসের প্রকাপে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে দেশের ক্রিকেট। এমন আপদকালে স্পন্সরের খোঁজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । কেননা পুরনো স্পন্সর ইউনিলিভারের সঙ্গে জানুয়ারিতেই চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তারাও চাইছে না আর মেয়াদ বাড়াতে। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন স্পন্সর ছিল আকাশ ডিটিএইচ। ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্পন্সরের তালাশ করছে বিসিবি।
ইউনিলিভারের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবার পরপরই দুই বছরের জন্য ৫০ কোটি টাকা মূল্যের টিম স্পন্সরশিপ আহ্বান করে বিসিবি। কিন্তু তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি কোনো স্পন্সরের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন স্পন্সর ছিল আকাশ ডিটিএইচ। কিন্তু বিসিবি চাইছে দীর্ঘমেয়াদী স্পন্সর। তাই মরিয়া হয়ে একটি নতুন জাতীয় দলের স্পন্সর খোজার পাশাপাশি নতুন ব্রডকাস্টার নিয়োগের জন্য সন্ধান করছে বোর্ড। কেননা চলতি এপ্রিলে গাজী টিভির সাথে চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিসিবির অর্থ বিভাগের প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, আমরা জানি যে এই মুহুর্তে স্পন্সর এবং ব্রডকাস্টার পাওয়া খুব কঠিন। তবে এটি মূলত চলমান করোনভাইরাস মহামারীর কারণেই অন্য যে কোনও কিছুর চেয়ে বেশি নয়। আমরা সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পরপরই স্পন্সর পেতে আশাবাদী।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের হোম সিরিজ আছে দুইটি। দুইটিই আবার টেস্ট সিরিজ হওয়ায় এই দুই সিরিজ মাঠে না গড়ালেও বিসিবির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে এদিক থেকে কিছুটা স্বস্তিতেই আছে বাংলাদেশের বোর্ড। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে স্থগিত হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মত আসর, যা বড় ধরনের লোকসানের মুখে ফেলবে বিসিবিকে।
জাতীয় এক দৈনিকে ইসমাইল হায়দার চৌধুরী মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা আশঙ্কা করছি, বোর্ডের বার্ষিক আয়ের ২০-২৫ ভাগ কমে যেতে পারে, অর্থের দিক থেকে যা ৪০ কোটি টাকার সমান। বিসিবি প্রতি বছর আইসিসির কাছ থেকে ১১ থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলার পায় (প্রায় ১০০ কোটি টাকা)।’