করোনা ভাইরাসে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৭৮ জনে।
এ মহামারীর কারণে বিশ্ববাসী আজ ঘরবন্দি। চারদিক সুনসান নীরবতা, জনশূন্য। যেন পৃথিবী আজ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান জানানো আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭ হাজার ৩৭১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা এ যাবৎ একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৬৯১ জনে। এর মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ১৫০ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬৩ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২২৮ জনের অবস্থা সাধারণ। ৪৭ হাজার ৮৯৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইতালি। ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১৭ হাজার ১২৭ জন। স্পেনে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৪ জনের। চীনে ৩ হাজার ৩৩৩ জন। ফ্রান্সে ১০ হাজার ৩২৮ জন। ইরানে ৩ হাজার ৮৭২ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ১৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশেও বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।
বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৯৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে নিউইয়র্কেই মারা গেছে সবচেয়ে বেশি।