হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ফের বাড়ল

মত ও পথ প্রতিবেদক

হজ
ফাইল ছবি

চলতি বছরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হলো নিবন্ধনের সময়। ধর্ম মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে হজ গমনেচ্ছুদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় নিবন্ধনের সময় দ্বিতীয় দফায় ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ঘোষণা অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল আজ বুধবার।

universel cardiac hospital

গত ১ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মানুষ। এরপর ১২ মার্চ তা ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরে ২৫ মার্চ ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালে হজ পালনে নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা দানকারী অনেকে সাধারণ ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি। এছাড়াও ইতোমধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা করতে না পারায় নিবন্ধন করতে পারেননি।

‘এ অবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।’

আরও বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজ গমনে যে কোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একইসঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্ৰমিক ৬৭২১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে’ ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা শুধু এক লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত টাকা জমা করবেন না। কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য এর অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় গৃহীত অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও পাঠানো যাবে না। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলনও করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরা এ ব্যাপারে সতর্কভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে