ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লকডাউন ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান৷ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া এই ঘোষণা কার্যকর থাকবে।

আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

লকডাউন চলাকালে খাদ্যদ্রব্যের দোকান দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ঔষধের দোকানগুলো লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে। এই সময় জেলার বাইরে থেকে কেউ আসতে পারবে না, জেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শামসুজ্জামান, সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ২৫০শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, জেলায় অন্য জেলার জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়ক ও নৌ পথে অন্য কোন জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে কিংবা এ জেলা হতে অন্য কোন জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃ উপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একই রূপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সকল ধরণের গণপরিবহন, জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং বাকি ছয়জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্ এ তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে দুইজন, আখাউড়া উপজেলায় তিনজন, বাঞ্ছারামপুর উপজোলায় একজন এবং নবীনগরের একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে নবীনগরের আক্রান্ত ব্যক্তি শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে