বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনার আর্থিক ক্ষতি মূল্যায়ন করে এই তথ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে অঞ্চলটি যুগের পর যুগ লড়াই করে যে উন্নতি করার চেষ্টা করছে তা এতে করে ব্যাহত হবে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্চলটির ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে এখনো করোনাভাইরাস প্রকোপ সেভাবে শুরু না হলেও এসব দেশে ভাইরাসটি সংক্রমণের নতুন ‘হটস্পট’ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে; যা তাদের অর্থনীতিতে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তত ১৮০ কোটি মানুষের বাস। এছাড়া এই অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল কিছু দেশ রয়েছে। যা ভাইরাসটি সংক্রমণের জন্য বেশ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করবে। আর তাতেই অর্থনীতির অবস্থা আরও নাজুক হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘করোনার ক্ষতিকর প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটা ঝড় বয়ে আনবে। অঞ্চলটির পর্যটন শিল্প ধসের মুখে, ভেঙ্গে পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা, তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদায় ধস নেমেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ফাটল ধরেছে।’
বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলণ করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে এই হার ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। অঞ্চলটির অন্তত অর্ধেক দেশের অর্থনীতি গভীর মন্দায় পড়বে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আরব সাগরে অবস্থিত ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। কেননা দেশটির অর্থনীতি মূলত পর্যটন খাত নির্ভর। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলছে, করোনার কোপে মালদ্বীপের অর্থনীতি ১৩ শতাংশ সংকুচিত হবে।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারতে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু ভারতের এ বছরের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৫ শতাংশ।